Description♦ আমাদের পলিসি ♦
ফ্ল্যাট ক্রয়ের পূর্বে একবার হলেও ভাবুন
♦♦মিঃ আদনান সাহেব মাল্টিন্যাশনাল
কোম্পানীতে ভাল বেতনে চাকরি করেন। ঢাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন। চিন্তা করলেন নিজস্ব একটা ফ্ল্যাট কিনবেন। তাই বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির ফ্ল্যাটের খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারলেন রামপুরায় ফিউচার
ডেভলাপারস এর বিল্ডিং নির্মাণ শুরু হয়েছে। এখনই
বুকিং দিলে স্পেশাল ডিসকাউন্টে ৫২০০/ টাকা স্কয়ার
ফিট নেওয়া যাবে।
আদনান সাহেব এখানে ৫ লক্ষ টাকা বুকিং মানি
আর প্রতিমাসে ৩ লক্ষ টাকা কিস্তির শর্তে ১৩০০ স্কয়ার
ফিটের একটি ফ্ল্যাট বুকিং দিলেন। ২২ মাস পর বিল্ডিং
নির্মাণ শেষ হলো। এদিকে আদনান সাহেব তার ফ্ল্যাটের
মূল্য বাবদ ৬৭৬০০০০ টাকা কিস্তি আকারে ইতিমধ্যেই পরিশোধ করেছেন। আরও ৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করে ফ্ল্যাটটি তিনি নিজের নামে রেজিস্ট্রেশন করে নিলেন।
এমতাবস্থায় আদনান সাহেবের মোট ব্যয় হল ৭২৬০০০০ টাকা।
♦♦আদনান সাহেবের বাল্যকালের বন্ধু
মিঃ জাবির পেশায় একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
বেচারা খুবই হিসাবি লোক। প্রতিটা
কাজ দক্ষতার সাথে করার জন্য চেষ্টা করেন। ভাড়া বাসাকে বিদায় জানিয়ে কবে নিজের একটা ফ্ল্যাট করতে পারবেন সেই চিন্তা মাঝে মধ্যেই তার মাথায় ঘুরপাক খায় বিশেষ করে ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যত আবাসনের ব্যবস্হা তাকে পেরেশান করে তোলে।
হঠাৎ একদিন সংবাদ পেলেন পাশের বাসার ফয়সাল
ভাই তার আরও কয়েকজন পরিচিত লোক নিয়ে ১০কাঠা জায়গা বায়না দিয়েছে বনশ্রী প্রজেক্টের পাশে নিজেরাই বিল্ডিং করার জন্য। জাবির সাহেব ফয়সাল
সাহেবের সাথে বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে
জানতে পারলেন ১০ কাঠা জমির উপর তারা ১০ তলা
বিল্ডিং করতে চাই। আন্ডারগ্রাউন্ড বাদে প্রতি ফ্লোরে ৪ টা ফ্ল্যাট হিসাবে ৯টা ফ্লোরে মোট ৩৬ টা ফ্ল্যাট হবে। তাই
তারা ১০ কাঠা জায়গা আগামী মাসে এমন ৩৬ জনের নামে রেজিস্ট্রি করবে যারা প্রত্যেকেই ফ্ল্যাট নিতে ইচ্ছুক।
জাবির সাহেবের কাছে আইডিয়াটা খুবই সুন্দর মনে
হলো তাই তিনিও তাদের সাথে থাকার নিয়ম জানতে চাইলে তারা একটা ১৩০০ স্কয়ার ফিটের জমির মূল্য
বাবদ ১২ লক্ষ টাকা জমি রেজিস্ট্রেশন এর পূর্বে দুই বা তিন কিস্তিতে পরিশোধ করার কথা জানালো আর বিল্ডিং নির্মাণ শুরু হলে প্রতি মাসে ১ লক্ষ টাকা দিলেই চলবে।
জাবির সাহেব ৫ লক্ষ টাকা বুকিং দিয়ে বাকি টাকা
একমাসের মধ্যে পরিশোধ করে জমি রেজিষ্ট্রি করে নিলেন। এদিকে জমিতে বিল্ডিং করার জন্য রাজউকে
প্ল্যান পাশের জন্য ৩ মাস সময় লাগলো এবং যথারীতি
বিল্ডিং নির্মানের কাজ শুরু হলো আর জাবির সাহেব মাসে ১ লক্ষ টাকা দিতে থাকলেন ও বিল্ডিং নির্মানের
যাবতীয় কাজ ও খরচ অন্যদের সাথে তিনিও তদারকি
করতে থাকলেন। বিশেষ করে রড, সিমেন্ট, পাথর, বালি পরিমাণ মত দেওয়া হচ্ছে কিনা। কারন এখানে
ফাঁকি দিলে তিনি নিজেই ফাঁকিতে পড়বেন।
এভাবে ১৯ মাসের মধ্যে তার ফ্ল্যাট নির্মান কাজ শেষ হলো। সমস্ত খরচ হিসাব করে জানা গেল প্রতি স্কয়ার
ফিট নির্মান বাবদ ব্যয় হয়েছে ১৭৫০ টাকা। সেই হিসাবে জাবির সাহেবের ১৩০০ স্কয়ার ফিট নির্মান ব্যয়
২২৭৫০০০ টাকা। জমিসহ মোট ব্যয় ৩৪৭৫০০০ টাকা।
জাবির সাহেব যেহেতু ক্রয়সূত্রে জমির মালিক তাই আলাদা ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রেশন খরচ তাকে ব্যয় করতে হলো না।